পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির দাখিল করা প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে ‘সরকার সন্তুষ্ট’। এরপরও এটি যে দুর্ঘটনা সে বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হতে কিছু নমুনা বিদেশে নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা জানান।
বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশনের কারণে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে কমিটি।
আগুন লাগার ঘটনাটি ‘দুর্ঘটনা’ হলে আলামত বিদেশে পাঠানো হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই প্রশ্নের সন্দেহাতীত জবাবের জন্য কিছু নমুনা বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। একটি জিনিস খেয়াল করতে হবে, আসলে যেকোনো একটি ঘটনার পর আমরা কতগুলো দৃষ্টিবোধ, কতগুলো মতামত ও কতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। তারপর ভিন্ন কোনো কথা শুনলে ওটা আর আমরা মানতে চাই না।
তিনি বলেন, আজকে যারা বিশেষজ্ঞ ছিলেন তারা আমাদের ক্লোজআপে দেখিয়েছেন কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং সচিবালয় ভবনগুলোর নির্মাণের কারণে কিভাবে এটি একটি অবস্থান থেকে আরেকটি অবস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। যে কুকুরটির কথা বলা হয়েছে সেটি এর আগে ওই ফ্লোরে গিয়েছে। সে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে একটি চেয়ারের উপরে কুশনে গিয়ে ঘুমায়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কিছু নমুনা বিদেশে পাঠানো হয়েছে, কারণ আমরা যেন সব রকমের সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকতে পারি। সত্যিই যদি এটি নাশকতা হতো, তাহলে ঘটনাটি কী রকম ঘটতে পারতো, উনারা সেটি দেখিয়েছেন। কোন জায়গা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূচনাটা হয়েছে- স্পষ্ট করে, স্লো মোশনে তারা দেখিয়েছেন। আমার ধারণা এগুলো আপনাদের সবার কাছেই অ্যাভেইলেবল আছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথম কথা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডটা আসলেই খুবই ভীতিকর, আমাদের অনেক বড় দুশ্চিন্তার কারণ। এখানে কিন্তু আমরাই অফিস করি, তাই কোনো কিছু হলে প্রথম আঁচটা আমাদের গায়ের ওপরই পড়বে। যারা ওখানে অফিস করেন, তাদের জন্য এটি একটি সাংঘাতিক ট্রমাটাইজিং ব্যাপার।
খুলনা গেজেট/ টিএ